Saturday 29 June 2019

Tanuj Sarkar

কবিতা
           ত   নু           কা 


               এখনও ঘাসের ছিটকিনি খুলে বসে আছো



কথা বলার চুপ থেকে
কথা না বলার চুপ

ব্যস,একটা সিগারেট
ধরে আছি মুখের ওপর

আর অবলীলায়
ঝরছে তুষার

শয়ে শয়ে

মুখর গোস্তে,স্বয়ে স্বয়ে





বুকজোড়া ক্রপ করে কুন্ডলীতে বসাই

ফলে কুন্ডলীনিকে খুঁজছি আরো নিচে
আরো নিচে,এইতো,
আহ!

নগরে অস্থির হয়েছে মাস,
অগত্যা,কলাই।




চোখ খুলে,
খুলতে থাকে
সম্পূর্ণ খোলে না

দরজার ব্যাঙগুলো
দেখতে বদখত

তার ওপরে রাস্তাঘাট
গোড়ালিনির্ভর

ল্যাবোরেটরিতে

রান্না হয়েছে দুধ
ভাত রান্না হওয়ার আগেই

একটু একটু করে


মা সম্পূর্ণ ডাকেনি।






টেবলে বসে আমি একটা গাছকে দেখতে পাচ্ছি
সুতরাং গাছটি হয়ে গেল তনুজগাছ
আমি এইমাত্র একটা পাখিকে গাছের ডাল
থেকে উড়ে যেতে দেখলাম
সন্দেহ নেই,বাস্তবিকই,আটটা পনেরোর
সকাল থেকে তবে
তনুজপাখিটি উড়ে চলে গেল দূরে
এবার আসছে বিকেল
একের বদলে অসংখ্য পাখি গাছে
দৃশ্যত,গাছ আর গাছের অগুণতি কান্ড,
আমি আর গাছটি কিংবা আমি আর
পাখিটি এক,আগেই বলেছি
চকিতে রাত নামার ঠিক আগে
যখন অসংখ্য পাখি আকাশ ঘষটে
উড়ে যাবে,ফর্ফর ফর্ফর,একই নিয়মে
আমিই অসংখ্য হবো,প্রত্যেকবার,
উড়ন্ত অবস্থায় টেবল থেকে কিছু একটা
খসে পড়ার শব্দও শোনা যেতে পারে অথবা
এইসব এতটাই ধীরে হচ্ছে,হয়ে যাচ্ছে যে
মনে হতে পারে টেবলের নির্জনতায়
আমি ওই গাছ,পাখি,আকাশ,
পাখিদের আকাশকে ঘষটে যাওয়ার ফর্ফর ধ্বনি
যেন মুহূর্ত আগেই দেখলাম ও বেঁচে গেলাম।




ঠোঁটদুটোকে নেশার কাছে রাখো
কানে কানে বলো কঠিন শব্দ

পেরেস্ত্রইকা

বিকল্প শব্দ আছে আরো

বলতে পারো তরলীকৃত
ঋণে,আমি ঋণী

এবার আস্তে চোখ খোলো,দেখো
চাবুক দাঁড়িয়ে আছে পাশে

ঠোঁটদুটো চাবুককে দেখাও।




মৃৎ,আলিফ,তুষার,পার্জন্য
কী কী নামে তোমায় ডাকি?

আমিও বদলে যাই নামে
যখন তোমায় ডাকি।





_____________________________________________________________________

No comments:

Post a Comment