কবিতা
অ ত নু ভ ট্টা
চা র্য
স্বখাত
বলেছিলে কালের পুতুল
বলেছিলে ভিন্ন রুচির
বলেছিলে যদ্যপি শ্বাস
সব কথা মলিন আকাশ
বলেছিলে আধুনিক মন
বলেছিলে রবীন্দ্রনাথ
বলেছিলে শরীর শরীর
সব কথা নিজের স্বখাত
বনজ-মর্মর
যে গাছের আকাশে যেমন অনায়াসে
হারিয়ে ফেলা মুখ চিনতে পারা যায়
যেখানে নীল আর সাদাটে মেঘেদের
বসতি ভাসমান বর্ণপরিচয়
এখানে নগরের গরাদ জীবনের
যেটুকু ম্লান হাসি তাও যে ধূমায়িত
এখানে আলো নেই আলোর বিভীষিকা
রঙিন ধাঁধাঁ লেগে অন্ধ-চেতনায়
এখানে আর নয় নাটুকে প্রেম স্নেহ
যত যা অনুভূত সবই তা লেনদেন
এমন ভেবেছিল এমনই অবিকল
কবিতা তাকে দেখে বলেছে বড় হও
যা ছিলো অভিমান হলো তা শিকড়ের
গভীরে আলো জ্বেলে নিজেকেসন্ধান !
যে গাছের আকাশে যখন মেঘ করে
শিকড়ে পৌঁছোবে সে-কথা তনুমন
পালিয়ে আর নয় এখানে রোদে জলে
যা কিছু কালিমায় হয়েছে একাকার
সে সব দায় আজ নিতে যে প্রস্তুত
মাটিতে আজ তার প্রথম অধিকার
ছিলো সে পরবাসী এখন মন চাষি
গাছের কাছে শেখা বনজ-মর্মর !
মানুষ ও মিথবাস্টার
‘মিথবাস্টার গাছের কাছে না যাওয়াই ভালো
ও জানে আত্মবিস্ফার’
-- একথা সংবাদ ও সত্যও বটে ।
‘মিথবাস্টার গাছের কাছে কেনোই বা যাওয়া,
চাইলেও ও কি আসতে পারবে আপনার কাছে ? ’-- এ কথার সত্যটা সংবাদ বলেনি।
তবে ‘মিথবাস্টার গাছেদের ক্ষোভ পুঞ্জিভুত হলে...’
-- দুনিয়া কাঁপানো দশ দিন হয়।
‘মিথবাস্টার মানুষকে যা শেখাতে পেরেছে
মানুষ পৌঁছে যেতে পারে যে কোনো আবিষ্কারের চূড়ায় ।
অনুতাপ
পাপে অনুতাপ আছে—
আর পুণ্যে যদি অনুতাপ না থাকে ?
গ্রীক রাজা মিলিন্দ আর বৌদ্ধ ভিক্ষু নাগসেনের
সেই অমোঘ কথপকথন নিয়ে
আজ যে এত কথা হলো
ঘন ঘন চা সিগারেট উড়লো আমাদের
তারপর যেমন সব পাখি ফিরে যায় ...
এই নৈঃশব্দে বসে ভাবি—
এই আড্ডারও অনুতাপ বড় প্রয়োজন
পাপে অনুতাপ আছে—
আর পুণ্যে যদি অনুতাপ না থাকে ?
গ্রীক রাজা মিলিন্দ আর বৌদ্ধ ভিক্ষু নাগসেনের
সেই অমোঘ কথপকথন নিয়ে
আজ যে এত কথা হলো
ঘন ঘন চা সিগারেট উড়লো আমাদের
তারপর যেমন সব পাখি ফিরে যায় ...
এই নৈঃশব্দে বসে ভাবি—
এই আড্ডারও অনুতাপ বড় প্রয়োজন
সে কি গ্রহনে সক্ষম
নিজের সঙ্গে কথা বলতে বলতে ক্লান্ত
এই ক্লান্তিটুকু লিখে রাখতে চায় সে
ক্লান্তির নিস্যন্দটুকু ...
এমনই এক সংকল্পে জড়িয়ে
আরও বড় ক্লান্তি এসে তাকে ছোঁয় !
নিদ্রায় ঢুলে যেতে যেতে আঙুল আলগা
হয়ে কলম গড়িয়ে যায়
সাদা পাতার ওপর
জেগে উঠা, এই বহুমাত্রিক লিপি—
সে কি গ্রহনে সক্ষম ?
তবে সে কি নিয়ে বাঁচবে !
____________________________________________________________________________________________________________________________________________
স্বখাত
বলেছিলে কালের পুতুল
বলেছিলে ভিন্ন রুচির
বলেছিলে যদ্যপি শ্বাস
সব কথা মলিন আকাশ
বলেছিলে আধুনিক মন
বলেছিলে রবীন্দ্রনাথ
বলেছিলে শরীর শরীর
সব কথা নিজের স্বখাত
বনজ-মর্মর
যে গাছের আকাশে যেমন অনায়াসে
হারিয়ে ফেলা মুখ চিনতে পারা যায়
যেখানে নীল আর সাদাটে মেঘেদের
বসতি ভাসমান বর্ণপরিচয়
এখানে নগরের গরাদ জীবনের
যেটুকু ম্লান হাসি তাও যে ধূমায়িত
এখানে আলো নেই আলোর বিভীষিকা
রঙিন ধাঁধাঁ লেগে অন্ধ-চেতনায়
এখানে আর নয় নাটুকে প্রেম স্নেহ
যত যা অনুভূত সবই তা লেনদেন
এমন ভেবেছিল এমনই অবিকল
কবিতা তাকে দেখে বলেছে বড় হও
যা ছিলো অভিমান হলো তা শিকড়ের
গভীরে আলো জ্বেলে নিজেকেসন্ধান !
যে গাছের আকাশে যখন মেঘ করে
শিকড়ে পৌঁছোবে সে-কথা তনুমন
পালিয়ে আর নয় এখানে রোদে জলে
যা কিছু কালিমায় হয়েছে একাকার
সে সব দায় আজ নিতে যে প্রস্তুত
মাটিতে আজ তার প্রথম অধিকার
ছিলো সে পরবাসী এখন মন চাষি
গাছের কাছে শেখা বনজ-মর্মর !
মানুষ ও মিথবাস্টার
‘মিথবাস্টার গাছের কাছে না যাওয়াই ভালো
ও জানে আত্মবিস্ফার’
-- একথা সংবাদ ও সত্যও বটে ।
‘মিথবাস্টার গাছের কাছে কেনোই বা যাওয়া,
চাইলেও ও কি আসতে পারবে আপনার কাছে ? ’-- এ কথার সত্যটা সংবাদ বলেনি।
তবে ‘মিথবাস্টার গাছেদের ক্ষোভ পুঞ্জিভুত হলে...’
-- দুনিয়া কাঁপানো দশ দিন হয়।
‘মিথবাস্টার মানুষকে যা শেখাতে পেরেছে
মানুষ পৌঁছে যেতে পারে যে কোনো আবিষ্কারের চূড়ায় ।
অনুতাপ
পাপে অনুতাপ আছে—
আর পুণ্যে যদি অনুতাপ না থাকে ?
গ্রীক রাজা মিলিন্দ আর বৌদ্ধ ভিক্ষু নাগসেনের
সেই অমোঘ কথপকথন নিয়ে
আজ যে এত কথা হলো
ঘন ঘন চা সিগারেট উড়লো আমাদের
তারপর যেমন সব পাখি ফিরে যায় ...
এই নৈঃশব্দে বসে ভাবি—
এই আড্ডারও অনুতাপ বড় প্রয়োজন
পাপে অনুতাপ আছে—
আর পুণ্যে যদি অনুতাপ না থাকে ?
গ্রীক রাজা মিলিন্দ আর বৌদ্ধ ভিক্ষু নাগসেনের
সেই অমোঘ কথপকথন নিয়ে
আজ যে এত কথা হলো
ঘন ঘন চা সিগারেট উড়লো আমাদের
তারপর যেমন সব পাখি ফিরে যায় ...
এই নৈঃশব্দে বসে ভাবি—
এই আড্ডারও অনুতাপ বড় প্রয়োজন
সে কি গ্রহনে সক্ষম
নিজের সঙ্গে কথা বলতে বলতে ক্লান্ত
এই ক্লান্তিটুকু লিখে রাখতে চায় সে
ক্লান্তির নিস্যন্দটুকু ...
এমনই এক সংকল্পে জড়িয়ে
আরও বড় ক্লান্তি এসে তাকে ছোঁয় !
নিদ্রায় ঢুলে যেতে যেতে আঙুল আলগা
হয়ে কলম গড়িয়ে যায়
সাদা পাতার ওপর
জেগে উঠা, এই বহুমাত্রিক লিপি—
সে কি গ্রহনে সক্ষম ?
তবে সে কি নিয়ে বাঁচবে !
____________________________________________________________________________________________________________________________________________
No comments:
Post a Comment