Saturday 29 June 2019

AmalKanti Chanda

ছড়া
বি ও ছড়াকার অমলকান্তি চন্দের জন্ম ২৯এপ্রিল ১৯৭৮ইং উত্তর ত্রিপুরার দশদায়। তিনি কবিতা ও ছড়া লেখার পাশাপাশি ছোটদের কাগজ ‘রসমালাইয়ের ‘সম্পাদনা করেন। তাঁর প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ছয়টি। তিনি ছোটদের জন্য লিখেছেন ১)হাসির ছড়া পোস্ত বড়া। ২)ছন্দ ছড়ায় বিজ্ঞান। ৩)আয়না উড়ি। ৪)চচ্চড়ি ইত্যাদি। তাঁর প্রকাশিত কবিতার বই প্রত্নমুহুর্ত এবং ভালোবাসার পাথরকুঁচি।


                                                   কা        ন্তি                ন্দ





            
                     তারের বেড়া দিচ্ছে কে?

লম্বা বেড়া কাটার তার
সবাই তোরা আঙুল নাড়
আঙুল নেড়ে দেখিয়ে দে
তারের বেড়া দিচ্ছে কে?

একটা পাখী মোহন নদী
আমার কথা মানত যদি
ছুটে যেতাম পাখীর  সাথে
নদীর সাথে গভীর রাতে।

ঐ আলোতো তোমার গাঁয়ে
পাখীর পায়ে নদীর পায়ে
আমার দেশে বাতাস খেলে
তোমার দেশে বৃষ্টি এলে।

বৃষ্টি এলে গাছের সারি
তোমার বাড়ি আমার বাড়ি
তোমার বাড়ি ভাটিয়ালে
আমার বাড়ি গাছের ডালে।




                     ক্যামরা দোলায় ফটো নে

হাততালিতে মাতল কারা দুটো হাতে জোড় লড়াই,
আমরা যারা কাঁদায় আছি সন্ধ্যাবেলা আয় গড়াই।

মানুষ যত ভূতের মত দাঁতগুলো সব হলদে,
আকাশ কারা করল ফুটা একটু খাবার জল দে।

নুনতা হাসি ডালের নিচে আসেন সবাই বিকেলে,
সকাল গেল দুপুর গেল বলল নিমাই কি খেলে?

আমার ঘরে জলরা নাচে খাল, নালা আর নদীতে,
তোমরা বাপু বসেই আছ আরাম চেয়ার গদীতে।

একটু হাসি ঠোঁটের কোণে নামতা ঘরের উঠোনে,
এক কাপড়ে আমরা আছি ক্যামরা দোলায় ফোটো নে।





                     আরামবাগে

গণ্ডাদশেক ডিমের ঝুড়ি
মাথায় নিয়ে ছুটছে বুড়ি
লম্বা দুটো হাত।
তাল পুকুরে দেশের পাখী
আদর করে আমার কাকি
থালায় দিল ভাত।

ভাতের থালা উল্টে দিলে
উঠোন জুড়ে হাজার চিলে
আঁচড় দিল খুব।
তাল পুকুরে আমার মত
নানার মত ননির মত
সাবাই কেমন চুপ।


তেলের ডিপো কামান দাগে
সকালবেলা আরাম বাগে
লোটায় দুটো ডিম।
সবাই ছুটে পথের মোড়ে
কুস্তি করে সেদিন ভোরে
রামের সাথে ভীম।




____________________________________________



No comments:

Post a Comment