Saturday 29 June 2019

Apangshu Debnath

কবিতা
       অ    পাং    শু         দে        না   







                    অতএব ঈশ্বর


মহাশূন্যে ভেসে ওঠে কারুমুখ। প্রতিহিংসায় ছবি আঁকে ঈশ্বর।
সৎ অসৎ নিয়ে বলাবলি দানবীয় সব বিষয়ীচরণ।কোন পায়ে রাখি প্রণাম?

মানুষের সমস্ত কাজের ফাঁকে লালাক্ষরণ দেখি, ভেতরে ভেতরে।
তরলকান্নায় ঝরে নুন,স্পর্ধায় কাঁপে বিনীত অভিমান।

এক রোদপ্রবাহ থেকে আরেক অনন্তজ্যোতি বলয়ের দিকে
যেতে, কতোটা কাঁদাময় মোড়াম বিছানো সড়ক হাঁটা বঞ্ছনীয়!
কোন্ ঈশ্বরের মর্মবাণীতে এ আলোকছটার কথা লিপিবদ্ধ?
অজানা বলে,মানুষের সমূহ অন্তর্বেদনা ছুঁতে চাই। কেনো যেনো,
মাঝে মাঝে নিজেকেই নিজের ঈশ্বর মনে হয়,অবিশ্বাসী মহাসড়কে।






                          নীলছায়া


সমূহ করতালি থেকে দূরে থাকে কিছু মানুষ,তবু
ডানায় গজায় পালক।পালকের ওম নিতে নিতে
দেখে,পুরনো নুড়িগুলো গড়ায় পাহাড়-ঢাল বেয়ে
ক্রমশ নিম্নগামী হয়,কোনো এক চতুরতার দিকে।
সেখান থেকে আর ফিরে আসেনা সুখ,সময়ের
বর্ণময় ধারাপাত শূন্য পড়ে থাকে তোমার পথে।

সমগ্র উপত্যকা জুড়ে কে যেন স্বাক্ষরহীন ধোঁয়া
ধোঁয়া আলপনা আঁকে,ঋজুনদীরেখা বরাবর কোনো
এক প্রান্তিক শিল্পী নিজেকে খনন করে। জমানো
বীজভান্ড,নির্দেশে তোমার সমর্পণ করে অন্ধ কূপমুখে,
অমনি পাহাড়-ছুঁয়ে জ্বলে ওঠে,সমগ্র উষ্ণ উপত্যকা
জুড়ে সময়ের এমনই নির্জল আদিম ধারালো নীলছায়া।






                   স্নান ও কর্কটক্রান্তিরেখা


এতোবার স্নানেও স্নিগ্ধ হলোনা এ শরীর
শরীর থেকে মন কতোটা দূরে জানে রাত্রির শপথ।

মন্দকিনী বলো কোথায় নাচ করো ভরতনাট্যম ?

এভাবে পৃথিবীর ক্লান্তি নিঙড়েই সন্ধ্যা নামে।
উঠুন মেলে ধরে প্রশস্ত সে বুক,
তাতে চোরপায়ের চিহ্ন জেগে আছে।

অথচ নিসপিস করে মন, কখন
চোখে হাওয়া গান আসবে নেমে একা।

একদা বৃক্ষই শীতল ছায়া দিয়ে সাজিয়েছে প্রণয়।

দুয়ার খুলে জাগে গ্রাম্য সেই নারী
পুরুষ মুখে তুলে দিয়ে গ্রাস, উপাস, কাটায় রাত।
হাওয়া গান শুনে,
ঘুড়ি ওড়ে আকাশে মাঞ্জা দেয়া সুতো জমে উঠুনে।

কতো উপোস রাত পাড় হলে তবেই উজ্জ্বল প্রভাত।

অন্ধকারে জেগে জেনেছি আমি তবে স্নান একবারই হয়,
শরীর থেকে ঘাম যতোই ঝরুক না কেন কর্কটক্রান্তিরেখায়---



_____________________________________________________________________

No comments:

Post a Comment