Saturday, 6 October 2018

Goutam Mondal


                                           গৌ      ত                    ণ্ড     




     নীহারিকালোক

নদীর এপার থেকে দেখলাম
তুমি দাঁড়িয়ে আছ ওপারে
তোমাকে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে
বহু অচেনা গাছ
প্রত্যেকটা গাছের নিজস্ব নীলিমা
নিজস্ব ধুলোবালি জলোচ্ছ্বাস
জন্ম জন্মান্তরের হাওয়ায় উড়ছে তোমার চুল
অপরিচিত অন্ধকারে উড়ে চলে
আমাদের বিরহ

নীহারিকালোক




        ছায়ামুখ

তোমার আকাশে তুমি ফুটে উঠছ

এবার বাইরের আকাশে
ছড়িয়ে দাও তোমার গোপন চুল

চুলের ভিতর লুকিয়ে থাকা
অন্ধকারে ঢেকে যাক সমস্ত পৃথিবী

চুলের আলোয়
ভাস্বর হয়ে উঠুক
অদেখা পৃথিবীর ছায়ামুখ




         একতারা

রাত্রি শেষ হয়েছে
অপেক্ষার 'পরে আরেক রাত্রির ছায়া
পুড়ে পুড়ে ছাই হয়ে গেল ভূর্জপত্র
অশ্রু ফেলার মতো কেউ রইল না
কাউকে দেখা গেল না
বিস্তীর্ণ মাঠে,মাঠের আশেপাশেও

বহুদূরে,দিগন্তেরও ওপারে
একটি বাঁশের বেঞ্চে,দেখা গেল,বসে
আছে এক অন্ধ ভিখিরি
হাতে তার একতারা
কেউ বাজাচ্ছে না,তবু,কী আশ্চর্য,
একতারাটি নিজেই বেজে চলেছে নি:শব্দ




     শালগাছ

হুস করে পাখিরা চলে গেল ;
পাখিরা ফিরে এল
কিচিরমিচির রঙে ভরে উঠল আকাশ ;
আকাশের সরোবর

পাড়ে,একটু হেলে,শূন্যতা
ভেদ করে,একা,দাঁড়িয়ে আছে

নির্বাক শালগাছ



_____________________________________________________________________________

No comments:

Post a Comment